১৯৮০ সালে সিলেটের গোটাটিকর বিসিক এলাকায় “কবুতর” এর যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতাত্তোর সিলেটে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কবুতর অন্যতম যা সুনামের সাথে ব্যবসা করে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিল। হাসান মার্কেটের সৎ ও পরিশ্রমী ব্যবসায়ী হাজী গৌছ উদ্দিন খান কবুতর-এর প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বড় ছেলে মকসুদ আহমেদ খান-এর হাত ধরে সময়ের পরিক্রমায় ব্যবসাটির অধিক প্রচার ও প্রসার ঘটে। মকসুদ আহমেদ খান-এর বাংলাদেশ ও প্রবাস জীবনে সমধিক ব্যস্ততার সুযোগে কারখানার দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ অসততা ও অসাধুতার পরিচয় দেয় যার ফলে কবুতর-এর দীর্ঘদিনে অর্জিত বাজার হারানোর উপক্রম ঘটে। ধীরে ধীরে কবুতর-এর বাজার যখন বিলিয়মান তখন হাজী সাহেবের আমেরিকা ফেরত দ্বিতীয় পুত্র নিয়াজ আহমেদ খান কবুতর-এর পুনর্জাগরণের স্বপ্নে বিভোর হন। এর পূর্বে তিনি আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে সুনামের সাথে “আলাদীন সুইটস” নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। যাহোক, বাবার প্রতিষ্ঠিত এবং বড় ভাইয়ের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল কবুতর-কে ব্যর্থ হতে না দেবার মানসে নিয়াজ আহমেদ খান সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে, নতুন ব্যবস্থাপনায় আর অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর মশলা হিসেবে সিলেটের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সিলেটের সর্বপ্রথম মশলা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কবুতর, যার উদ্দ্যেশই হচ্ছে সিলেটবাসীর কাছে সবচেয়ে ভালো মরিচ, ধনিয়া ও হলুদ থেকে উৎপন্ন মশলা সরবরাহ করা, যা প্রত্যেক রান্নাঘরে পরিতৃপ্তি এনে দেবে। মশলা ছাড়াও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য যেমন: মুড়ি, সরিষার তেল, চিড়া ভাঁজা, চানাচুর, ডাল ভাঁজা, মটর ভাঁজা-সহ বিভিন্ন ধরণের সুস্বাদু খাদ্য উৎপাদন করে থাকে “কবুতর”।
আপনি যদি আমাদের দোকানে একটি পণ্য রিজার্ভ করতে চান তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আমরা আমাদের 24/7 চ্যাট পরিষেবার সাথে দ্রুত আপনাকে উপস্থিত করব ।